ফাতেমা আফরোজ
একই সঙ্গে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে তার দোয়াত কলম প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-লুটপাটের প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।
রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ তোলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। এই সময় সাংবাদিকদের সামনে বড় পর্দায় নির্বাচনে ভোট কারচুপি, কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্যাহ খান সোহেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট ওমর ফারুকসহ হামলা ও ভাঙচুরের শিকার দোয়াত কলম প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম অভিযোগ করে বলেন, ছেলেকে ভোট না দিলে এলাকার উন্নয়ন বন্ধের ঘোষণাও দেন একরামুল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে সাংসদ একরামুলের স্ত্রী করিবহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলিও নির্বাচনের আগে তার ছেলের পক্ষে কাজ না করায় এমপির ডিও লেটার না দেওয়ার হুমকি দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
উল্লেখ্য, খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর কাছে তিনি পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আতাহার ইশরাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।