দাগনভূঞায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নিউজটি শেয়ার করুন

আবদুল্লাহ আল মামুন,দৈনিক জনতার অধিকারঃ
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ফেনীর সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ও দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের আমু ভূঞার হাট হাছানিয়া দাখিল মাদ্রাসার হলরুমে ৬০ জন  কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে আধুনিক ধান প্রযুক্তি বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হানের সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেনীর সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেনী আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাঈম আহমেদ, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আদিল ও সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা মো. আসিব বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফাহিম উদ্দিন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‌‌আমাদের গবেষণা কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে পারলে ও কৃষকরা উপকৃত হলেই তবে সফল ও সার্থক হবে। জমি অনুযায়ী বীজ নির্বাচন, প্রয়োজন অনুযায়ী সার ও কীটনাশক প্রয়োগ যাতে সঠিকভাবে হয় সে জন্য কৃষি অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর সেবা নেওয়ার জন্য তিনি কৃষকদের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা জমি অনুযায়ী সঠিক বীজ নির্বাচন করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর সহযোগিতায় কৃষি অফিস সর্বদা কৃষকের তথ্য ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত। যেকোন সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি সেবা ও তথ্য নেওয়ার জন্য তিনি কৃষকদের অনুরোধ জানান।

প্রশিক্ষণ শেষে ব্রি কর্তৃক স্থাপিত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস (ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯৫ ও ব্রি ধান ১০৩) বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কৃষক-কৃষাণীদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা করা হয়।

ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯৫ ও ব্রি ধান ১০৩ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেনীর সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *